যে ৭টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং কাজ থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করার জন্য প্রয়োজন সঠিক কাজটি নির্বাচন করা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বেশ প্রতিযোগিতা পূর্ণ জায়গা। মোটামুটি সব মার্কেট-প্লেসে ফ্রিল্যান্সারের আধিক্য রয়েছে। তাই, প্রতিযোগীতা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বেশি আয়ের মাধ্যম। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, একটি জব পোস্টে শতাধিক বিড পড়ে। আয় তো পরের কথা, কাজ পাওয়াটাই মুশকিল হয়ে যায় তখন। কিন্তু, আপনি যদি সঠিক কাজটি নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে এরূপ ঝামেলায় পড়তে হবে না।

ইতোমধ্যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করার জন্যে ৭টি কাজের কথা উল্লেখ করেছি। তাই, আজকে আলোচনা করবো ফ্রিল্যান্সিং জগতের যে ৭টি কাজ থেকে আপনি সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন।

বেশি আয়ের ফ্রিল্যান্সিং কাজ

ফ্রিল্যান্সিং কাজ

১. লিগ্যাল সার্ভিস এক্সপার্ট

প্রতি ঘণ্টা রেট : ৭০ – ১২০ ডলার

লিগ্যাল সার্ভিস সর্বোচ্চ আয়ের একটি কাজ। যদিও, অধিকাংশ কাজ আমেরিকা এবং ইউরোপের। তাই, এসব কাজ করতে হল অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রের আইন জানা থাকা লাগবে। বাংলাদেশি আইন শিখে সে দেশে কাজ করতে পারবেন না।

এখন প্রশ্ন করতে পারেন, এটা তাহলে কেন দিলাম। চাইলে আপনি সে দেশের আইন শিখে নিতে পারেন। তবে, এটা দেয়ার উদ্দেশ্য শুধু আপনাদের বোঝানো যে, ফ্রিল্যান্সিং কেবল কম্পিউটার সম্পর্কিত কাজের জন্য নয়। কম্পিউটার রিলেটেড কাজের বাইরে আরো অনেক কাজ আছে এবং সেগুলোও আপনি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে পেতে পারেন।

যাই হোক, আপনি যদি একজন ল’ইয়ার হয়ে থাকেন অর্থাৎ বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকে, তবে চাইলে আপনি অ্যামেরিকার আইন সম্পর্কেও সহজেই শিখে নিতে পারেন। American Law Course সহ আরো নানা নামে অনেক অনলাইন কোর্স রয়েছে যা আপনি দেশে থেকেই করতে পারেন।

২. সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট

প্রতি ঘণ্টা রেট : ৭০ ডলার

অনলাইনে কাজ করলে হ্যাকারের আক্রমণের শিকার হওয়াটা স্বাভাবিক। অনলাইনে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারের পাশাপাশি অনেক গ্রে ও ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার রয়েছে। অধিকাংশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার ডাটা বা ওয়েবসাইট হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেলে অনেক সময় ডাটা বা ওয়েবসাইট ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বড় মাপের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

তাই, প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান তাদের ডাটা বা ওয়েবসাইট সুরক্ষার জন্য সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট খুঁজে থাকে। এ-সব সাইবার এক্সপার্টদের কাজ থাকে ডাটা বা ওয়েবসাইট তদারকি করা কিংবা কোন বাগ থাকলে খুঁজে বের করা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কিভাবে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হবেন? চিন্তা নেই, সাইবার সিকিউরিটি শেখার অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট আছে। এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি ফ্রিতেই সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে পড়াশুনা করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারেন।

৩. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

প্রতি ঘণ্টা রেট : : ৭০ ডলার

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে আয় বেশি এই কথা সবারই জানা। সুতরাং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের চাহিদা এবং আয় সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। সাধারণত কম্পিউটার এবং মোবাইলের অ্যাপ তৈরির চাহিদা বেশি। এছাড়া, গেম ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে ৫টি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বেশি জনপ্রিয় যথা –

  • জাভাস্ক্রিপ্ট
  • পাইথন
  • জাভা
  • সুইফট
  • সি প্লাস প্লাস

ডেভেলপমেন্ট থেকে আয় করার জন্যে আপনি এখানকার যে কোন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে নিতে পারেন। চাইলে একাধিক ল্যাংগুয়েজও শিখতে পারেন। তবে, একটাতে আগে এক্সপার্ট না হয়ে আরেকটা শিখতে যাওয়া বোকামি হবে। যাইহোক, আপনি যদি যে কোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে এক্সপার্ট হতে পারেন, তবে আউটসোর্সিং করার ওয়েবসাইটগুলোতে সফটওয়্যার কিংবা গেম ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারেন।

৪. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

প্রতি ঘণ্টা রেট : ৬০ ডলার

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের পর আসে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মধ্যে আবার ২টি ধাপ রয়েছে। এছাড়া, ২টি ধাপে আলাদা আলাদা ল্যাঙ্গুয়েেও জানা লাগে। যেমন –

  • ফ্রন্ট এন্ড – HTML, CSS, JavaScript
  • ব্যাক এন্ড – PHP, JavaScript, Node.js, MySQL

উপরের এটা সামান্য একটি ধারণা মাত্র। এ-সব ল্যাঙ্গুয়েজের পাশাপাশি ফ্রেমওয়ার্ক জানা থাকা লাগবে। আপনি যত বেশি জানবেন, মার্কেট-প্লেসে আপনার চাহিদা এবং আয় তত বেশি থাকবে।

যেহেতু বর্তমানে প্রতিটি কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে, তাই এদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেডের জন্য ওয়েব ডেভেলপার ভাড়া করা হয়ে থাকে। মার্কেট-প্লেসে এই ধরণের জবের আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি।

৫. এসইও স্পেশালিষ্ট

প্রতি ঘণ্টা রেট : ৫০ ডলার

ওয়েবসাইট তৈরি করার পর যদি কোন ভিজিটর না আসে, তাহলে এই ওয়েবসাইটের কোনও মূল্য নেই। সবাই চায় তাদের ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে চলে আসুক। সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে আনতে হলে প্রয়োজন একজন এসইও স্পেশালিষ্ট। এসইও ২ ধরণের হয়ে থাকে। যথা –

  • অন পেজ এসইও
  • অফ পেজ এসইও

প্রতিযোগিতার এই বাজারে একজন এসইও স্পেশালিষ্টের চাহিদা এবং মূল্য অনেক। আপনি যদি একজন ভাল মানের এসইও এক্সপার্ট হন, তাহলে আয় নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। সুতরাং, এসইও শেখার ওয়েবসাইটগুলো থেকে শিখে শিখে এক্সপার্ট হয়ে যান, আপনার মার্কেট ভ্যালু অনেক বেড়ে যাবে।

৬. রাইটার

প্রতি ঘণ্টা রেট : ৪১ ডলার

রাইটারদের চাহিদা অতীতেও ছিল, এখনও আছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আর্টিকেল লিখে মাসে কম পক্ষে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। রাইটিং বিভিন্ন বিভাগের হতে পারে। যেমন –

  • কপিরাইটার
  • আর্টিকেল রাইটার
  • টেকনিক্যাল রাইটার
  • কন্টেন্ট রাইটিং

বিভাগ ভেদে আয়ের পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। মোটামুটি সব বিভাগেই কাজের চাহিদা রয়েছে। আপনি যে বিভাগেই কাজ করবেন, সে বিভাগে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। কেননা এই সেক্টরে অদক্ষ লোকের পরিমাণ অনেক বেশি। কাজেই, দক্ষ না হলে বেশি আয় করতে পারবেন না।

৭. গ্রাফিক্স ডিজাইনার

প্রতি ঘণ্টা রেট : ৩৬ ডলার

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের অবস্থান ৭ নাম্বারে। কিন্তু, গ্রাফিক্স ডিজাইনের এমন কিছু সেকশন আছে যেখানে আয়ের পরিমাণ বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইউআই সেকশন।

অন্যান্য সেকশনে এখন ফ্রিল্যান্সারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আয়ের পরিমাণ কম। তবে, অন্যান্য অনেক কাজ থেকে এই কাজে আয় বেশি। গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করার ১০টি দারুণ উপায় জানা থাকলে, আয় করা নিয়ে আপনাকে খুব একটা চিন্তা করতে হবে না।

শেষ কথা

এই ছিল ফ্রিল্যান্সিং কাজ থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করার কাজের তালিকা। যে কোনও কাজে ভাল আয় করতে হলে সে কাজে দক্ষ হওয়া আবশ্যক। মনে রাখতে হবে যে, অদক্ষ লোক কোনও কাজেই সফলতা পায় না।

Comments

  1. Casino, Poker, Gambling: Odds, Trends, Statistics
    Real-time odds for the latest and greatest games at There's 안양 출장안마 no need 구미 출장마사지 to wait to see the latest game results on this page 전라북도 출장샵 to find your 의정부 출장마사지 next favorite game 전라북도 출장샵 and

    ReplyDelete

Post a Comment